ব্যায়াম করার উপকারিতা ও অপকারিতা
ব্যায়াম করার উপকারিতা ও অপকারিতা
নিয়মিত ব্যায়ামের উপকারিতা
নিয়মিত ব্যায়াম করা শারীরিক ও মানসিক স্বাস্থ্যের জন্য অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। এর অসংখ্য উপকারিতা আছে, যার মধ্যে কিছু নিচে দেওয়া হলো:
১. শারীরিক সুস্থতা
নিয়মিত ব্যায়াম করলে রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণে থাকে, হৃদপিণ্ড শক্তিশালী হয় এবং ওজন নিয়ন্ত্রণে রাখা সহজ হয়। এটি ডায়াবেটিস, উচ্চ রক্তচাপ, ও হৃদরোগের ঝুঁকি কমায়।
২. মানসিক প্রশান্তি
ব্যায়াম শুধু শরীর নয়, মনকেও শান্ত করে। এটি স্ট্রেস হরমোন কমায় এবং “এন্ডরফিন” নামক সুখানুভূতির হরমোন বাড়ায়, যা আমাদের মন ভালো রাখতে সাহায্য করে।
৩. ঘুমের মান উন্নত করে
যারা নিয়মিত ব্যায়াম করেন, তাদের ঘুম গভীর ও শান্ত হয়। তাদের ঘুম ভালো হয় এবং ঘুমের ব্যাঘাত কম হয়।
৪. শক্তি ও সহনশীলতা বৃদ্ধি
দীর্ঘমেয়াদে ব্যায়াম শরীরকে আরও শক্তিশালী ও সহনশীল করে তোলে। দৈনন্দিন কাজকর্মে ক্লান্তি কম লাগে এবং মন প্রফুল্ল থাকে।
৫. নতুন অভ্যাস ও আত্মনিয়ন্ত্রণ গড়ে তোলে
নিয়মিত ব্যায়াম আমাদের জীবনে শৃঙ্খলা আনে, যা অন্য অভ্যাসেও অনেক প্রভাব ফেলে।
অতিরিক্ত ব্যায়ামের অপকারিতা
যদিও ব্যায়াম উপকারী, অতিরিক্ত বা ভুল পদ্ধতিতে ব্যায়াম করলে কিছু অপকারিতা দেখা দিতে পারে:
১. অতিরিক্ত ব্যায়াম শরীরের ক্ষতি করতে পারে
যদি বিশ্রাম ছাড়া অতিরিক্ত ব্যায়াম করা হয়, তাহলে পেশি ছিঁড়ে যেতে পারে, হাড় দুর্বল হতে পারে এবং শরীরে দীর্ঘমেয়াদি ক্ষতি হতে পারে।
২. সঠিক পদ্ধতি না জানলে বিপদ
অনেকেই ইউটিউব দেখে বা অন্যকে অনুকরণ করে ব্যায়াম শুরু করেন, কিন্তু ভুল ভঙ্গিতে ব্যায়াম করলে কোমর, হাঁটু বা ঘাড়ে ব্যথা হতে পারে।
৩. মানসিক চাপের কারণ হতে পারে
যদি কেউ ব্যায়ামকে বাধ্যতামূলক বা “পারফেক্ট” করার চাপে থাকেন, তাহলে তা মানসিক চাপের কারণ হতে পারে। শরীরের পরিবর্তন না দেখলে হতাশাও জন্ম নিতে পারে।
৪. পুষ্টির অভাব
ব্যায়ামের সঙ্গে সঠিক খাদ্যাভ্যাস না থাকলে শরীর দুর্বল হয়ে পড়ে। অনেকেই ওজন কমাতে গিয়ে খাওয়া কমিয়ে দেন, যা বিপজ্জনক হতে পারে।
ব্যায়াম নিঃসন্দেহে একটি আশীর্বাদ, যদি তা সঠিকভাবে, পরিমিতভাবে এবং সচেতনভাবে করা হয়। এটি আমাদের শরীর ও মনকে সুস্থ রাখে, জীবনের মান উন্নত করে।
রান্না ও গল্পকথার নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।
comment url